Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

At a glance

 

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দেশের অন্যতম বৃহৎ কৃষি প্রকৌশল সংস্থা। ১৯৯২ সালে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলা নিয়ে অগ্রযাত্রা শুরু করলেও  বর্তমানে রাজশাহী বিভাগ ও রংপুর বিভাগের মোট ১৬ টি জেলা নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাযক্রম (সেচ প্রদান, বৃক্ষরোপন, রাস্তা নির্মাণ, পুকুর ও খাল /খাড়ী খনন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষন) ইত্যাদি বহুবিধ কাজ করে দেশের আথসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন অবদান পালন করে আসছে। বতমানে  সময়ের পরিক্রমায় এর পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। দেশের উত্তর বঙ্গের ১৬টি জেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের সীমানায় রয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ক্ষের বিশাল কর্মযজ্ঞ।

পল্লী অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ এবং উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করতে এবরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ  যে অবদান রেখেছে তা আজ দৃশ্যমান। দেশের ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি অর্জনে এসব অবকাঠামোর অবদান অপরিসীম। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেচের মাধ্যমে বরেন্দ্র অঞ্চলে ব্যবপক ফসলের ভান্ডার গড়ে উঠেছে যেখানে পূর্বে বরেন্দ্র অঞ্চলে মাত্র ১টি ফসলের মাধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তাছাড়া প্রত্যন্ত পল্লির মানুষ আজ সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটারের মধ্যে পাকা সড়ক ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছে। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে পল্লির এসব অবকাঠামো ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

 

বরেন্ত্র কর্তৃপক্ষের অবদানের ফলে আজ কৃষকের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধিত হয়েছে এবং কৃষকের জীবন মান পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আজ দেশের খাদ্যের চাহিদা পূরনে বরেন্ত্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দেশের অপরিসীম পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

 

দেশের কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতেও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিশেষ ভূমিকা পালন করছে উত্তর অঞ্চলে সেচ সুবিধা উন্নয়নের মাধ্যমে পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে। এসব প্রকল্পে স্থানীয় অংশীজনদের অংশগ্রহণে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে বহুমানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

 

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সৃষ্টির পূর্বে বরেন্দ্র অঞ্চল ছিল ঠাঠা মরুভূমির মত গ্রীশ্মকালে মাটি ফেটে চোচির হয়ে যেত এবং সে সময় শুধু মাত্র বরেন্ত্র অঞ্চলে তাল গাছ ছাড়া অন্য বৃক্ষ দেখা যেত না। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বৃক্ষ রোপনের ফলে এবং সেচের মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি বহুধরনের বৃক্ষ রাস্তার পাশে রোপনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য সৃষ্টিতে মূল্যবান ভুমিকা পালন করছে।